আসসামুওয়ালাইকুম,
প্রিয় ট্যুরিষ্ট/ট্রাভেলার,
আসছে ১৬, ১৭, ১৮ জানুয়ারী, ২০২৩ তারিখে “দি রেইসবো ট্যূরস” এর পক্ষ থেকে ৩ দিন ও ২ রাতের সুন্দরবনের এক্সক্লুসিভ প্যাকেজ ট্যুর ডিক্লিয়ার করা হয়েছে।
তিন দিন ঘুরে বেড়াবেন আমাদের নিজেস্ব বিলাশবহুল ট্যুরিষ্ট শিপ “এম, ভি, জিলান”- করে সুন্দরবনের বিভিন্ন স্পটে।
আমাদের অত্যাধুনিক এই, ট্যুরিষ্ট শিপে আছে ৭৫ জন ট্যুরিষ্ট ক্যাপাসিটি। আমাদের সাথে উপভোগ করুন বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও আমাদের অভিজ্ঞ ক্রু'দের আতিথীয়তা।
[সুন্দরবন ভ্রমণ করুন আমাদের সাথে।

ট্যুর ডিটেইলসঃ

১৬, ১৭, ১৮ জানুয়ারী, ২০২৩, তারিখ সকাল (৬:০০ মিনিটে) খুলনার রূপসা ঘাট/ জেলখানা থেকে আমাদের ট্যুরের শুরু
এবং

(এটি খুলনা - সুন্দরবন - খুলনা ট্যুর প্যাকেজ)

ট্যুর সাইজঃ ৭৫জন

ট্যুর ডিউরেশনঃ ৩ দিন ২ রাত

শিপ: এম ভি জিলান (সম্পূর্ণ এসি / নন এসি)

ট্যুর স্পটঃ

হাড়বাড়ীয়া ইকো ট্যুরিজম

কটকা অফিসপার

টাইগার টিলা

কটকা ওয়াচ টাওয়ার

টাইগার পয়েন্ট

জামতলা সী বীচ

কচিখালী অভায়ারন্য

কচিখালী খাল

ডিমের চর ( সমূদ্র উত্তাল থাকলে যাওয়া সম্ভব নয়)

করমজল (মিনি জু ও কুমির প্রযনন কেন্দ্র)

ট্যুর আইটেনারীঃ

দিন - ১ঃ খুলনা রূপসা ঘাট/ জেলখানা থেকে সকাল ৬/৭ টায় গেষ্ট রিসিভ করে হাড়বাড়ীয়ার উদ্দেশ্যে জাহাজ ছেড়ে যাওয়া। সকাল ৮:৩০ মিনিটে ব্রেকফাষ্ট পরিবেশন করা। যেতে যেতে চোখে পড়বে রূপসা ব্রীজ, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও মোংলা পোর্ট। আনুমানিক দুপুর ১/২ টায় হাড়বাড়ীয়া পৌঁছানো। লাঞ্চ এর পরে হাড়বাড়ীয়া ইকো ট্যুরিজম স্পট ঘুরে দেখা। হাড়বাড়ীয়াতে বন্যপ্রানীর পানি খাবার জন্য একটি মিষ্টি পানির পুকুর আছে। আছে বন ও বন্যপ্রানী পর্যবেক্ষণ করার জন্য ওয়াচ টাওয়ার। আর কাঠের তৈরী হাটার ট্রেইল। হাড়বাড়ীয়া ঘুরে আমরা জাহাজে ফিরে আসবো ও জাহাজ কটকার উদ্দেশ্যে রওনা দিবো। আনুমানিক রাত ১২ টার দিকে কটকা পৌঁছানো এবং রাতে জাহাজে অবস্হান।

দিন - ২ঃ খুব সকাল আনুমানিক ৬ টায় কটকা অফিস পার ও তিন টিলা সহ এলাকা ভ্রমন করা এবং জাহজে ফিরে এসে ব্রেকফাষ্ট করে জামতলা সী বীচের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা। যাওয়ার পথেই আমরা ওয়াচ টাওয়ার ও টাইগার পয়েন্টের ভিতর থেকে হেঁটে যাবো। বীচে ১ ঘন্টা সময় দিয়ে আমরা আবার জাহাজে ফিরে আসবো। (কটকা জামতলা বীচ যাওয়া আসা আনুমানিক ৬ কিলোমিটার)। জাহাজে ফিরে আমরা ছোট ক্যানেল দিয়ে কচিখালী অভায়ারন্যের দিকে রওনা করবো। দুপুর ৩ টা নাগাদ আমরা কচিখালী পৌঁছাবো। প্রথমে আমরা চলে যাবো ডিমের চর। সাগরের মাঝে ভেসে ওঠা এই চরে আমরা সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত কাটিয়ে চলে আসবো কচিখালীতে। কচিখালীতে প্রচুর হরিন দেখা যায়। কচিখালী ও কচিখালীর ক্যানেল ক্রুজিং করে সন্ধ্যার আগে শিপে ফিরে আসা ও শিপ চাঁদপাই ফরেষ্ট স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা করা।

দিন -৩ঃ সকালে আমরা চাঁদপাই ফরেষ্ট স্টেশন এর আশে পাশে ক্যানেল ক্রুজিং করে জাহাজে ফিরে আসবো। ব্রেকফাষ্ট করে আমরা করমজল ভ্রমন করবো। করমজল একটি মিনি জু ও কুমির প্রযোনন কেন্দ্র। এখানে প্রায় ১ কিলোমিটার মত হাটার কাঠের ট্রেইল আছে। আছে অনেক উঁচু ওয়াচ টাওয়ার। সুন্দরবনের বড় ম্যাপটিও এখানে। করমজল ভ্রমন শেষে জাহাজে ফিরে আসা ও জাহাজ খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা করা। আনুমানিক সন্ধ্যা ৫ টার দিকে খুলনা পৌঁছানো ও স্নাক্স পরিবেশন করা। স্নাক্স শেষে ট্যুরের সমাপ্তি ঘোষনা করা।
বিঃ দ্রঃ জোয়ার ভাটার কারনে ২/৩ ঘন্টা সময় ব্যবধান হতে পারে।।

প্যকেজ ইনক্লুডঃ

এসি /নন এসি ট্যুরিষ্ট শিপে ২/৩/৪ জন শেয়ার বেসিস থাকা

তিন দিনের সকল প্রকার খাবার (ব্রেকফাষ্ট + লাঞ্চ + ডিনার ও প্রতিদিন ২ টি স্যাক্স)

ট্যুর আইটেনারী অনুযায়ী সকল স্পট পরিদর্শন

ছোট বোটে করে ক্যানেল ক্রুজিং

শেষ রাতে বার-বি-কিউ ডিনার

২৪ ঘন্টা খাবার পানি সরবরাহ

ফরেষ্ট পারমিশন ও সকল প্রকার এন্ট্রি ফি

নিরাপওার জন্য ফরেষ্ট ডিপার্টমেন্ট থেকে ২ জন অস্ত্রধারী গার্ড

অভিজ্ঞ সার্ভিস বয়

দক্ষ ক্রু

২ জন অভিজ্ঞ গাইড

কোন রকম হিডেন চার্জ নাই

প্যাকেজ এক্সক্লুডঃ

ট্রান্সপোর্ট

সকল প্রকার ব্যাক্তিগত খরচ

পারর্সোনাল মেডিসিন

সফট বা হার্ড ড্রিংস

ক্যামেরা এন্ট্রি ফি

টিপস

এম ভি জিলান -জাহাজের ফ্যাসিলিটি সমুহ :

গেষ্ট ধারন ক্ষমতা 75 জন

ডায়নিং এর ক্যাপাসিটি 75 জন

নামাজের জায়গা

বার-বি-কিউ কর্নার

৮ টি কমন ওয়াশরুম

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সিটিং রুম

ফ্রেশ পানির রির্জাব ক্যাপাসিটি ৫০০০০ লি:

লাইভ বার-বি-কিউ ডিনার

আছে অভিজ্ঞ সেফ এবং দক্ষ ওয়েটর

বিভিন্ন রকমের ইন-ডোর খেলাধুলার ব্যবস্থা

২ টি ইন্জীন

২ টি জেনেরেটর

আইপিএস সিস্টেম

আধুনিক জি.পি.এস. ভিএসএফ, ইকো সাউন্ডার, লাইভ বয়া, লাইভ জ্যকেট এবং অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থা সহ আছে আরও প্রয়োজনিও ইকিউপমেন্টস।

শিপের অভ্যন্তরে পাবেন নান্দনিক ইন্টোরিয়ার ডিজাইন।

অভিজ্ঞ ট্যুর গাইড


নিরাপত্তাঃ
গেষ্টের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা কখনও আপস করি না । আমাদের সর্বচ্চো অগ্রাধিকার থাকে গেষ্টের নিরাপত্তা নিয়ে। বনবিভাগ থেকে থাকবে সার্বক্ষনিক আর্মসসহ দুই জন নিরাপত্তা কর্মী । আবহাওয়া এবং অন্য যে কোন প্রয়োজনে VSF এর মাধ্যমে ফরেস্ট, কোষ্ট গার্ড এবং নৌ-বাহিনীর সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ এবং প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন।
নোট: সুন্দরবনে শুধু মাত্র টেলিটক নেটওয়ার্ক কাজ করে।

বুকিং এর জন্য যোগাযোগ করুনঃ
দি রেইনবো ট্যুরস
42,গোবরচাকা মেইন রোড, খূলনা।
মোবাইল - +8801711112302