সুন্দরবন বাংলাদেশের ফুসফুস এবং আমরা বাংলাদেশের মানুষকে এই সুন্দর ও মহৎ প্রাকৃতিক উপহারের যত্ন নিতে হবে। আমি ইদানীং ম্যানগ্রোভ বন শান্তিতে বিশ্রাম নিতে পারে এবং নিজের বংশবৃদ্ধি করতে পারে তা নিশ্চিত...
একদিনের ট্যুর টিকিট
প্রবেশের সময়ের স্লট | ব্যক্তির ধারণ ক্ষমতা | ব্যবহারযোগ্য টিকিট |
---|---|---|
৯:০০ পূর্বাহ্ন - ১:০০ অপরাহ্ন | ৮০০ জন | ৮০০ টি |
১:০০ অপরাহ্ন - ৫:০০ অপরাহ্ন | ৮০০ জন | ৮০০ টি |
আপনি উল্লিখিত নির্ধারিত সময়ের স্লটের মধ্যে স্পট পরিদর্শন করতে পারেন । আপনার এবং আপনার সাথীর একটি টিকিট কেনার জন্য, আপনি নীচের বাটনটি ব্যবহার করতে পারেন।
টিকেট কিনুনযাত্রাপথ
-
বুড়িগোয়ালিনী/মুন্সিগঞ্জ
-
দোবেকী
-
কলাগাছিয়া
মানচিত্রে দেখুন
গ্যালারি
বিবরণ
সুন্দরবন বাংলাদেশের ফুসফুস এবং আমরা বাংলাদেশের মানুষকে এই সুন্দর ও মহৎ প্রাকৃতিক উপহারের যত্ন নিতে হবে। আমি ইদানীং ম্যানগ্রোভ বন শান্তিতে বিশ্রাম নিতে পারে এবং নিজের বংশবৃদ্ধি করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য বন বিভাগ একটি দুর্দান্ত কাজ করেছে। এটা বাঘের আস্তানা কিন্তু আমরা লোভ দেখিয়ে তাদের মেরে ফেলি। আসুন আমরা মানুষ হই এবং এই প্রাকৃতিক সম্পদকে তাদের নিজস্ব পথে থাকতে দিই এবং শেষ পর্যন্ত এটি মানবজাতির জন্য উপকারী হিসাবে ফিরে আসবে।
ইকো টুরিজম কেন্দ্রের ভৌগলিক বর্ণনা
ইকো টুরিজম কেন্দ্রের প্রকৃতিক দৃশ্যেও বর্ণনা-
সুন্দরবনে প্রধান প্রধান যে গাছ সমূহ দেখা যাবে
নানা ধরনের গাছপালার চমৎকার সমারোহ ও বিন্যাস এবং বন্যপ্রাণীর অনন্য সমাবেশ এ বনভূমিকে চিহ্নিত করেছে এক অপরূপ প্রাকৃতিক নিদর্শন হিসেবে। অধিকাংশ উদ্ভিদ চিরসবুজ হওযার কারণে এদের সবার শারীরবৃত্তিক ও গঠনগত অভিযোজন কমবেশি একই রকম। অধিকাংশ বৃক্ষের আছে ঊর্ধ্বমুখী শ্বাসমূল, যার সাহায্যে এরা শ্বসনের জন্য বাতাস থেকে সরাসরি অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে। এ বনের প্রধান বৃক্ষ প্রজাতি সুন্দরী এবং গেওয়া । এছাড়া পশুর, ধুন্দল, গরান, বাইন, কাঁকড়া, কেওড়া ইত্যাদি গাছও প্রাকৃতিক ভাবে জন্মে।
সুন্দরবনের প্রধান প্রধান যে সব বন্যপ্রাণী দেখা যাবে-
সুন্দরবন নানা ধরণের প্রাণীবৈচিত্রে অনন্য। রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সর্বাধিক গুরত্বপূর্ণ আবাসস্থল হলো সুন্দরবন। সুন্দরবনে প্রায় ২৮৯ প্রজাতির স্থলজ প্রাণী বাস করে। এছাড়া আছে প্রায় ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ, ৮ প্রজাতির উভচর এবং বিভিন্ন প্রজাতির মাছসহ ২১৯ প্রজাতির জলজ প্রাণী। রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়া সুন্দরবনের উল্লেখযোগ্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে রয়েছে চিত্রা হরিণ, মায়া হরিণ, রেসাস বানর, বন বিড়াল, সজারু, উদ বিড়াল এবং বন্য শূকর। প্রায় ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপের মধ্যে সুন্দরবনের সবচেয়ে বড় সদস্য মোহনার কুমির; এদের সংখ্যা প্রায় ২০০। সাপের মধ্যে রাজগোখরা, অজগর, কেউটে এবং কয়েক প্রজাতির সামুদ্রিক সাপ উল্লেখযোগ্য। অমেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে কতিপয় মোলাস্কা এবং ক্রাসটেসিয়ান গুরত্বপূর্ণ মৎস্যসম্পদ হিসেবে বিবেচিত। প্রজাতিগুলির মধ্যে তালিকাবদ্ধ হয়েছে প্রায় ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া, কয়েক প্রজাতির শামুক এবং ঝিনুক। সুন্দরবনে বসবাসকারী ৩২০ প্রজাতির পাখির অধিকাংশই স্থানীয় বা আবাসিক। প্রায় ৫০ প্রজাতির পাখি পরিযায়ী এবং এদের অধিকাংশই হাঁসজাতীয়। বক, সারস, হাড়গিলা, কাদা-খোঁচা, লেনজা ও হট্টিটিসহ অসংখ্য উপকূলীয় পাখি এখানকার নদীনালার কিনারায় বিচরণ করে। সমুদ্র এবং বড় বড় নদীর উপকূলভাগে দেখা যায় বহু প্রজাতির গাংচিল, জলকবুতর, টার্ন ইত্যাদি। চিল, ঈগল, শকুন ইত্যাদিরও দেখা পাওয়া যায় সুন্দরবনে। এ বনে মাছরাঙার দেখা মেলে প্রতিনিয়তই। এছাড়া, কাঠঠোকরা, ভগীরথ, পেঁচা, মধুপায়ী, বুলবুল, শালিক, ফিঙে, বাবুই, ঘুঘু, বেনে, হাঁড়িচাঁচা, ফুলঝুরি, মুনিয়া, টুনটুনি ও দোয়েলসহ রয়েছে নানা ধরনের ছোট ছোট গায়ক পাখি।
যে সকল নদীর প্রবাহিত হচ্ছে সেসকল নদীর নাম-
- পশুর নদী, করমজল খাল
ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রের চারদিকে প্রধান প্রধান খালের নাম-
-করমজল খাল, ঢাংসারী খাল, চাড়াখালী খাল
রাজধানী এবং জেলা শহর থেকে কি কি উপায়ে ইকো টুরিজম কেন্দ্র পৌছানো যায়
স্থল পথঃ রাজধানী ঢাকা থেকে স্থল পথে তিন ভাবে কলা গাছিয়া যাওয়া যায়।
- গাবতলী থেকে পাটুরীয়া দৌলদিয়া ফেরী পার হয়ে, রাজবাড়ী ফরিদপুর-মাগুরা-যশোর-সাতক্ষীরা শ্যামনগর মুন্সিগঞ্জ - বুড়িগোয়ালীনি
- গুলিস্থান বা যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া ফেরী পার হয়ে খুলনা- সাতক্ষীরা শ্যামনগর মুন্সিগঞ্জ - বুড়িগোয়ালীনি
- গাবতলী থেকে যমুনা সেতু পার হয়ে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদাহ-যশোর সাতক্ষীরা শ্যামনগর মুন্সিগঞ্জ - বুড়িগোয়ালীনি
পরিবাহন ব্যবস্থাঃ যদি নিজেস্ব পরিবাহন বা রিজার্ব গাড়ী নিয়ে আসেন তাহলে সরাসরী বুড়িগোয়ালিনী রেঞ্জ অফিসে পৌছে যেতে পারবেন।আর যারা নিজেস্ব পরিবাহন ছাড়া আসবেন তারা রাজধানীর কল্যানপুর,শ্যামলী,গাবতলী,কলাবাগান,মালিবাগ,আব্দুলাপুর থেকে সরাসরি স্লিপার কোচ, এসি, নন এসি বাস সাতক্ষীরা জেলা শহরে এবং শ্যামনগর আসে।সেখান থেকে লোকাল বাস বা অটোযোগে আপনাকে পৌছাতে হবে মুন্সিগঞ্জের বুগোয়ালিনী। সেখান থেকে রাজস্ব পরিশোধ করে আপনাকে স্থানী ভাড়ায় চলিত ট্রলার যোগে টুরিজম কেন্দ্র।
পরিবহন সমূহের তথ্যঃ
পরিবহনের নাম | ছাড়ার স্থান | মোবাইল নং | অনলাইন টিকিট বুকিং |
এম আর পরিবহন | কল্যানপুর,শ্যামলী,গাবতলী,কলাবাগান,মালিবাগ,আব্দুলাপুর | ||
একে ট্রাভেলস | কল্যানপুর,শ্যামলী,গাবতলী | ||
সাতক্ষীরা লাইন | কল্যানপুর,শ্যামলী,গাবতলী |
বিমান পথঃ বিমান পথে রাজধানী ঢাকা থেকে যশোর তারপর সেখান থেকে রিজার্ব কার,মাইক্রো অথবা লোকাল বাস যোগে সাতক্ষীরা-শ্যামনগর-মুন্সিগঞ্জ-বুড়িগোয়ালীনি।প্রতি দিন কয়েকটি বিমান সংস্থা ঢাকা-যশোর ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
বিমান সমূহের তথ্যঃ
বিমানের নাম | ছাড়ার স্থান | হটলাইন | অনলাইন বুকিং |
বাংলাদেশ বিমান | শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর | +8801990997997 | www.biman-airlines.com |
ইউএস বাংলা | শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর | +880 9613713605 | www.usbair.com |
নভোএয়ার | শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর | +88-09666-722224 | www.flynovoair.com |
নৌ পথঃ
ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রে কোনো রেস্ট হাউজ/ রাত্রিকালীন অবস্থান/ খাওয়ার ব্যবস্থা ইত্যদি
বিশ্রাম নেওয়া বা রাত্রি যাপনের জন্য সুন্দরবনের কাছেই দুইটি রিসোর্ট রয়েছে সেখানে থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। খাওয়ার জন্য স্থানীয় কিছু রেস্টুরেন্ট রয়েছে যেখানে বাংলা খাবার পাওয়া যায়।এছাড়া উপজেলা সদরে থাকার জন্য আবাসিক হোটেল এবং খাওয়ার জন্য রেস্টুরেন্ট আছে।আবাসিক হোটেল গুলো সারা রাত খোলা পাওয়া যায় তাবে খাওয়ার জন্য রেস্টুরেন্ট গুলো রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
হোটেল রেস্টুরেন্টে সমূহঃ
নাম | ধরন | ঠিকানা | যোগাযোগ | সময়সূচি |
বরসা রিসোট | রিসোর্ট | বুড়িগোয়ালিনী,মুন্সিগঞ্জ | সকাল ৯ থেকে রাত ৯টা | |
টাইগার পয়েন্ট | রিসোর্ট | মুন্সিগঞ্জ | ০১৭২০৫০৫৭৭৮ | |
জেসি কমপ্লেক্স | আবাসিক হোটেল | শ্যামনগর সদর | ||
সুন্দরবন ভ্রমণকারীদের বিদ্যমান ভ্রমণ ফি এবং পরিশোধের মাধ্যম
দর্শনার্থীর ধরণ | ভ্রমণকারীর বিবরণ | রাজস্ব হার | ||
রাজস্ব হার | ভ্যাট (১৫%) | মোট টাকা | ||
সাধারণ দর্শনার্থী (প্রতিদিন) | দেশি | ৪০ | ৬ | ৪৬ |
বিদেশী | ৫০০ | ৭৫ | ৫৭৫ | |
অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও পরিচয় পত্রধারী ছাত্র-ছাত্রী | দেশি | ২০ | ৩ | ২৩ |
বিদেশী | ৫০০ | ৭৫ | ৫৭৫ |
ইকো টুরিজম কেন্দ্রে ভ্রমণের সময় সূচি
প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভিতরে প্রবেশ করা যাবে।
সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভিতরে অবস্থান করা যাবে।