Skip to content

স্পট

কচিখালী


কচিখালী সুন্দরবনের একটি সুন্দর পর্যটন স্পট। এখানকার প্রধান আকর্ষণ হরিণ, সাপ, কুমির এবং রঙিন পাখি।সুন্দরবন বাংলাদেশের ফুসফুস এবং আমরা বাংলাদেশের মানুষকে এই সুন্দর ও মহৎ প্রাকৃতিক উপহারের যত্ন নিতে হ...

গ্যালারি

বিবরণ

কচিখালী সুন্দরবনের একটি সুন্দর পর্যটন স্পট। এখানকার প্রধান আকর্ষণ হরিণ, সাপ, কুমির এবং রঙিন পাখি।সুন্দরবন বাংলাদেশের ফুসফুস এবং আমরা বাংলাদেশের মানুষকে এই সুন্দর ও মহৎ প্রাকৃতিক উপহারের যত্ন নিতে হবে। আমি ইদানীং ম্যানগ্রোভ বন শান্তিতে বিশ্রাম নিতে পারে এবং নিজের বংশবৃদ্ধি করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য বন বিভাগ একটি দুর্দান্ত কাজ করেছে। এটা বাঘের আস্তানা কিন্তু আমরা লোভ দেখিয়ে তাদের মেরে ফেলি। আসুন আমরা মানুষ হই এবং এই প্রাকৃতিক সম্পদকে তাদের নিজস্ব পথে থাকতে দিই এবং শেষ পর্যন্ত এটি মানবজাতির জন্য উপকারী হিসাবে ফিরে আসবে।

ইকো টুরিজম কেন্দ্রের ভৌগলিক বর্ণনা


 
বিভাগের নাম  ঃ সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ, বাগেরহাট খুলনা
জেলার নাম  ঃ বাগেরহাট
উপজেলার নাম  ঃ শরনখোলা
রেঞ্জের নাম  ঃ শরনখোলা
স্টেশনের নাম  ঃ কচিখালি অভয়ারন্য কেন্দ্র
পেট্রোল পোস্ট/অভয়ারণ্যের নাম  ঃ কচিখালি অভয়ারন্য কেন্দ্র
আয়তন ঃ ১৪৭৩৪ হেক্টর , ৫৩৬ নং কম্পার্টমেন্টের আংশিক এলাকা ঘিরে গঠিত

 

ইকো টুরিজম কেন্দ্রের প্রকৃতিক দৃশ্যেও বর্ণনা-


- ডিমেরচর, পক্ষিরচর, জামতলা,বাদামতলা,সিবিস,সোন মাঠ,১২ একর নারকেল ও তাল গাছের বাগান
  • সুন্দরবনে প্রধান প্রধান যে গাছ সমূহ দেখা যাবে

নানা ধরনের গাছপালার চমৎকার সমারোহ ও বিন্যাস এবং বন্যপ্রাণীর অনন্য সমাবেশ এ বনভূমিকে        চিহ্নিত করেছে এক অপরূপ প্রাকৃতিক নিদর্শন হিসেবে। অধিকাংশ উদ্ভিদ চিরসবুজ হওযার কারণে এদের  সবার শারীরবৃত্তিক ও গঠনগত অভিযোজন কমবেশি একই রকম। অধিকাংশ বৃক্ষের আছে ঊর্ধ্বমুখী শ্বাসমূল, যার সাহায্যে এরা শ্বসনের জন্য বাতাস থেকে সরাসরি অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে। এ বনের প্রধান বৃক্ষ প্রজাতি সুন্দরী এবং গেওয়া । এছাড়া পশুর, ধুন্দল, গরান, বাইন, কাঁকড়া, কেওড়া ইত্যাদি গাছও প্রাকৃতিক ভাবে জন্মে।
 

  • সুন্দরবনের প্রধান প্রধান যে সব বন্যপ্রাণী দেখা যাবে-

সুন্দরবন নানা ধরণের প্রাণীবৈচিত্রে অনন্য। রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সর্বাধিক গুরত্বপূর্ণ আবাসস্থল হলো সুন্দরবন। সুন্দরবনে প্রায় ২৮৯ প্রজাতির স্থলজ প্রাণী বাস করে। এছাড়া আছে প্রায় ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ, ৮ প্রজাতির উভচর এবং বিভিন্ন প্রজাতির মাছসহ ২১৯ প্রজাতির জলজ প্রাণী। রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়া সুন্দরবনের উল্লেখযোগ্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে রয়েছে চিত্রা হরিণ, মায়া হরিণ, রেসাস বানর, বন বিড়াল, সজারু, উদ বিড়াল এবং বন্য শূকর। প্রায় ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপের মধ্যে সুন্দরবনের সবচেয়ে বড় সদস্য মোহনার কুমির; এদের সংখ্যা প্রায় ২০০। সাপের মধ্যে রাজগোখরা, অজগর, কেউটে এবং কয়েক প্রজাতির সামুদ্রিক সাপ উল্লেখযোগ্য। অমেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে কতিপয় মোলাস্কা এবং ক্রাসটেসিয়ান গুরত্বপূর্ণ মৎস্যসম্পদ হিসেবে বিবেচিত। প্রজাতিগুলির মধ্যে তালিকাবদ্ধ হয়েছে প্রায় ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া, কয়েক প্রজাতির শামুক এবং ঝিনুক। সুন্দরবনে বসবাসকারী ৩২০ প্রজাতির পাখির অধিকাংশই স্থানীয় বা আবাসিক। প্রায় ৫০ প্রজাতির পাখি পরিযায়ী এবং এদের অধিকাংশই হাঁসজাতীয়। বক, সারস, হাড়গিলা, কাদা-খোঁচা, লেনজা ও হট্টিটিসহ অসংখ্য উপকূলীয় পাখি এখানকার নদীনালার কিনারায় বিচরণ করে। সমুদ্র এবং বড় বড় নদীর উপকূলভাগে দেখা যায় বহু প্রজাতির গাংচিল, জলকবুতর, টার্ন ইত্যাদি। চিল, ঈগল, শকুন ইত্যাদিরও দেখা পাওয়া যায় সুন্দরবনে। এ বনে মাছরাঙার দেখা মেলে প্রতিনিয়তই। এছাড়া, কাঠঠোকরা, ভগীরথ, পেঁচা, মধুপায়ী, বুলবুল, শালিক, ফিঙে, বাবুই, ঘুঘু, বেনে, হাঁড়িচাঁচা, ফুলঝুরি, মুনিয়া, টুনটুনি ও দোয়েলসহ রয়েছে নানা ধরনের ছোট ছোট গায়ক পাখি।
 

  • যে সকল নদীর প্রবাহিত হচ্ছে সে সকল নদীর নাম-

         - বলেশ্বর, সুপতিনদী, বঙ্গউপ সাগর
 

  • ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রের চারদিকে প্রধান প্রধান খালের নাম-

        -ঘর শুকপাড়া, বাহির শুকপাড়া,দরজারখাল,কচিখালী অফিসখাল,টাইগার পয়েন্ট খাল,পক্ষির         চরের খাল, ছিটা কটকা,চান্দের আড়া কালা দিয়ারখাল,পাতার খাল ইত্যাদি
 

দর্শনীয় স্থপনা নাই
বন্যপ্রাণী প্রদর্শণীর ব্যবস্থা 
হরিণ
ফুট ট্রেইল ১২২৬ মিটার
ওয়াচ টাওয়ার কাজ চলমান
হরিণের বেস্টনী আছে
কুমিরের বেস্টনী
নাই

 

রাজধানী এবং জেলা শহর থেকে কি কি উপায়ে ইকো টুরিজম কেন্দ্র পৌছানো যায়


 

স্থল পথঃ খুলনা/বাগেরহাট থেকে মংলা লঞ্চ যোগে কচিখালী

স্থল পথে দুই ভাবে করমজল পৌছানো যায়।

  • গাবতলী থেকে পাটুরীয়া দৌলদিয়া ফেরী পার হয়ে, রাজবাড়ী ফরিদপুর-মাগুরা-যশোর-খুলনা-মোংলা-কচিখালী
  • গুলিস্থান বা যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া ফেরী পার হয়ে গোপালগঞ্জ-কাটাখালী-মোংলা-কচিখালী

পরিবাহন ব্যবস্থাঃ  যদি নিজেস্ব পরিবাহন বা রিজার্ব গাড়ী নিয়ে আসেন তাহলে সরাসরী খুলনা/মোংলা পৌছে যেতে পারবেন।আর যারা নিজেস্ব পরিবাহন ছাড়া আসবেন তারা রাজধানীর কল্যানপুর,শ্যামলী,গাবতলী,কলাবাগান,মালিবাগ,আব্দুলাপুর থেকে সরাসরি স্লিপার কোচ, এসি, নন এসি বাস খুলনা আসে এবং গুলিস্থান বা যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া ফেরী পার হয়ে গোপালগঞ্জ-কাটাখালী-মোংলা কিছু পরিবাহন সরাসরি আসে।সেখান থেকে  আপনাকে স্থানী ভাড়ায় চলিত লঞ্চ যোগে টুরিজম কেন্দ্র পৌছাতে হবে।
 

      পরিবাহন সমূহের তথ্যঃ
পরিবাহনের নাম ছাড়ার স্থান মোবাইল নং অনলাইন টিকিট বুকিং
সোহাগ পরিবাহন কল্যানপুর,শ্যামলী,গাবতলী,কলাবাগান,মালিবাগ,আব্দুলাপুর    
একে ট্রাভেলস কল্যানপুর,শ্যামলী,গাবতলী    
গ্রীনলাইন পরিবাহন কল্যানপুর,শ্যামলী,গাবতলী    
টুঙ্গিপাড়া      
সেবা      
হানিফ পরিবাহন      
ঈগল পরিবাহন      

 

বিমান পথঃ বিমান পথে রাজধানী ঢাকা থেকে যশোর তারপর সেখান থেকে রিজার্ব কার,মাইক্রো অথবা এয়ারলাইন্স এর বাস যোগে খুলনা তারপর রিজার্ব কার,মাইক্রো অথবা লোকাল বাস যোগে মোংলা।প্রতি দিন কয়েকটি বিমান সংস্থা ঢাকা-যশোর ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
 

          বিমান সমূহের তথ্যঃ
বিমানের নাম ছাড়ার স্থান হটলাইন অনলাইন বুকিং
বাংলাদেশ বিমান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর +8801990997997 www.biman-airlines.com
ইউএস বাংলা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর +880 9613713605 www.usbair.com
নভোএয়ার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর +88-09666-722224 www.flynovoair.com

 

নৌ পথঃ ঢাকা-বরিশাল, খুলনা/বাগেরহাট-সুন্দরবন

 

ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রে কোনো রেস্ট হাউজ/ রাত্রিকালীন অবস্থান/ খাওয়ার ব্যবস্থা ইত্যদি


রেষ্ট হাউজ আছে যাহা ২০১০ সাল থেকে কোষ্টগাড ব্যবহার করে রাত্রি কালিন অবস্থান ও খাওয়াদাওয়ার কোন ব্যবস্থা নাই

বিশ্রাম নেওয়া বা রাত্রি যাপনের জন্য খুলনা শহরে ৩ তারকা মানের হোটেল সহ অনেক হোটেল রয়েছে এবং মোংলাতে হোটেল রয়েছে সেখানে থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা আছে।আবাসিক হোটেল গুলো সারা রাত খোলা পাওয়া যায় তাবে খাওয়ার জন্য রেস্টুরেন্ট গুলো রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

 

হোটেল রেস্টুরেন্টে সমূহঃ

নাম ধরন ঠিকানা যোগাযোগ সময়সূচি
হোটেল রয়েল আবাসিক হোটেল খুলনা সদর    
টাইগার গার্ডেন ইন্ট. হোটেল আবাসিক হোটেল খুলনা সদর ০১৭২০৫০৫৭৭৮  
হোটেল ক্যাসেল সালাম আবাসিক হোটেল খুলনা সদর    
সিটি ইন. আবাসিক হোটেল খুলনা সদর    
হোটেল পশুর আবাসিক হোটেল মোংলা উপজেলা সদর    
মোংলা পোর্ট রেস্ট হাউজ আবাসিক হোটেল মোংলা উপজেলা সদর    
হোটল আমিন ইন্টা. আবাসিক হোটেল মোংলা উপজেলা সদর 01922179191  
হোটল ব্যাংকক আবাসিক হোটেল মোংলা উপজেলা সদর    
শাহীন হোটেল  আবাসিক হোটেল মোংলা উপজেলা সদর 01747664966  
ক্রাউন প্যালেস আবাসিক হোটেল মোংলা উপজেলা সদর 029859952  
হাবিব ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক হোটেল মোংলা উপজেলা সদর 01711281658  
রেইর বো ইকো রিসোর্ট রিসোর্ট মোংলা উপজেলা সদর 01722350826  

 

সুন্দরবন ভ্রমণকারীদের বিদ্যমান ভ্রমণ ফি এবং পরিশোধের মাধ্যম

দর্শনার্থীর ধরণ ভ্রমণকারীর বিবরণ রাজস্ব হার
রাজস্ব হার ভ্যাট (১৫%) মোট টাকা
সাধারণ দর্শনার্থী (প্রতিদিন) দেশি ১৫০ ৭৫ ২২৫
বিদেশী ২০০০ ১০০০ ৩০০০
অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও পরিচয় পত্রধারী ছাত্র-ছাত্রী দেশি ৩০ ১৫ ৪৫
বিদেশী ২০০০ ১০০০ ৩০০০

 

 

 

 


 

ইকো টুরিজম কেন্দ্রে ভ্রমণের সময় সূচি

সকাল ৯.০০ ঘটিকা হইতে বিকাল ৫.০০ ঘটিকা পর্যন্ত

নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত

 
 
 

যোগাযোগ

নাম  ঃমোঃ রবিউল ইসলাম 
পদবী  ঃ ফরেষ্টার
মোবাইল নং  ঃ 
ইমেল  ঃ